কিউআর কোডের উদ্ভাবন
১৯৯৪ সালে কিউআর কোডের এর নকশা পৃথিবীর সামনে নিয়ে আসে জাপানের জনপ্রিয় অটোমোবাইল কোম্পানি টয়োটার অধীন ডেনসো ওয়েব এর ইঞ্জিনিয়ার মাশাহিরো হারা এর হাত ধরে। মূলত গাড়িকে ট্রাক করার উদ্দেশ্যে এটি তৈরি করা হয়। যা পরে পুরো জাপানি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। প্রথমদিকে এই কোডগুলো শুধুমাত্র অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহৃত হলেও পরে সারা বিশ্বে বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই কোডগুলোর তথ্য সঞ্চয়ের ক্ষমতা অনেক বেশি থাকে ও ইস্ক্যান এর মাধ্যমে সহযোগিতা পাঠ করা যায় এসব কারণের জন্য উন্নত সংস্করণে কিউআর কোডের চাহিদা অনেক বেশি বর্তমান স্মার্ট ফোনের যুগে।
কিউআর কোডের প্রকারভেদ
কিউআর কোড মূলত দুই ধরনের
1. স্ট্যাটিক কিউআর কোড- এই কিউআর কোডে একবার তথ্য সংগ্রহ হলে সেগুলো আর পরিবর্তন করা যায় না।
2. ডাইনামিক কিউআর কোড- এই কিউ আর কোডে তথ্য সহজেই পরিবর্তন করা যায় এবং তথ্য আপডেট করতে নতুন আর কোডের প্রয়োজন হয় না।
QR CODE পেমেন্ট সিস্টেম
1.মোবাইলে ব্যাংক/MFS/payement service provider অ্যাপ ডাউনলোড করা।
2.দোকান বা আউটলেটে প্রদর্শিত কিউআর কোড স্ক্যান করা।
3.পণ্য বা সেবার মূল্য পরিশোধ করার জন্য তার পরিমাণ লেখা।
4.পিন/ওটিপি টাইপ করে লেনদেন সব বন্ধ করা।
5.লেনদেন সম্পন্ন হলে পেমেন্ট কনফার্মেশন রিসিট নেয়া
ব্যাংকে কিউআর কোডের এর ব্যবহার
E WALLET অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিতে হবে। অ্যাপটি লগইন করার পর কিউআর কোডটি ডাউনলোড করতে হবে।E WALLET QR CODE SCNE করে WALLET ব্যালেন্স থেকে অন্য কারো WALLET এ টাকা পাঠানো যাবে।
QR কোডের মাধ্যমে নগদ টাকা গ্রহণ করতে হলে ব্যাংকের কোন শাখায় টাঙিয়ে রাখা QR কোড স্ক্যান করে ক্যাশ আউট করতে হবে। তারপর ক্যাশ সেকশনে টাকার পরিমাণ ও ফোন নাম্বার বললে দায়িত্ব প্রাপ্ত ক্যাশিয়ার তাকে নগদ অর্থ বুঝিয়ে দেবেন।QR কোড ব্যবহারের জন্য কোন চেক লাগবেনা,স্বাক্ষর যাচাই করনের ঝামেলা নেই, যেকোনো শাখা থেকে টাকা উত্তোলন করা যায়, চেক নিয়ে লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা থাকে না।
QR CODE ব্যবহারের সুবিধা
1.একটি সাধারণ বারকোড থেকে কিউআর কোড এ বেশি তথ্য জমা করা যায়।
2.তথ্য নষ্ট হওয়া সম্ভাবনা খুবই কম, যার ফলে তথ্য সুরক্ষিত থাকে।
3.কিউআর কোডের মাধ্যমে সহজেই তথ্য আদান প্রদান করা আলাদা কোন অ্যাপ্লিকেশনের ব্যবহার প্রয়োজন হয় না।
4.কিউআর কোড ব্যবহারে সময় বাঁচায়। স্ক্যান করার সাথে সাথেই সমস্ত ইনফরমেশন একবারে চলে আসে।
5.কিউআর কোড আকারে খুব ছোট হয় তাই স্ক্যান করা সহজ এবং প্রিন্ট মিডিয়াতে পাবলিশ করাও লাভজনক
6.কিউআর কোড বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে যেমন দোকান,রেস্টুরেন্ট,স্কুল,কলেজ,হাসপাতাল,ব্যাংক ইত্যাদি স্থানে।
7.কিউআর কোডের মাধ্যমিক পেমেন্ট করতে নগদ অর্থের প্রয়োজন হয় না। তাই ছেরা ফাটা বা জাল নোট গ্রহণের আশঙ্কা থাকে না।
8.ক্ষুদ্র বা মাঝারি বিক্রেতারাও কম খরচে কিউআর কোড ব্যবহার করে মূল্য গ্রহণ করতে পারে।
3 Comments
GOOD JOB
ReplyDeleteFINE
ReplyDeleteভাল
ReplyDelete