সাধারণ মৃত্যু আসলে হৃদপিণ্ড ও ফুসফুস বন্ধ হয়ে যাওয়াকে বুঝায়। এর মানে হলো অনেকক্ষণ শ্বাস-প্রশ্বাস নেই, হৃদপিন্ডের কোন আওয়াজ নেই ও এর বাইরে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই এটাই সাধারণ মৃত্যু।
বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে আমরা নতুন এক ধরনের মৃত্যুর কথা জানতে পারি তা হলো মস্তিষ্কের মৃত্যু।
হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের কাজ বন্ধ হয়ে মৃত্যু ঘটলে সাথে সাথে মস্তিষ্কের কাজও বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু মস্তিষ্কের কাজ বন্ধ হয়ে গেলে কৃত্রিম উপায়ে হৃদপিন্ডের শ্বাস-প্রশ্বাস চালিয়ে নেওয়া যায়। ভেন্টিলেশন এর মাধ্যমে এই কাজটি সম্পাদন করা হয়। ভেন্টিলেশন এর মাধ্যমে হৃদপিণ্ড ফুসফুসের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে রাখা হয় এবং এই ভেন্টিলেশন চালু রেখে মস্তিষ্ককে স্বাভাবিক করার জন্য ডাক্তাররা চেষ্টা করে থাকেন যখন পারেন না তখন ডাক্তার বলেন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
সাধারণ মৃত্যুর পর একজন মানুষের কাছ থেকে যে সকল অরগ্যান নেয়া সম্ভব।
# চোখ (গ্লুকোমা, ক্যানসার, হেপাটাইটিস, এইচ আই ভি বা সেপটোসেমিয়া থাকলে সম্ভব নয়) আবহাওয়া অনুযায়ী মোটামুটি ৪ ঘন্টার মধ্যে নেয়া সম্ভব।
# ৪ ঘন্টার মধ্যে অস্থি, ত্বক, ইয়ারড্রাম ও ইয়ার বোন নেয়া সম্ভব।
# ৩০ থেকে ৪৫ মিনিটের মধ্যে কিডনী নেয়া সম্ভব।।
কিছু অরগ্যান যা রক্ত সঞ্চালন অবস্থায় সংগ্রহ করতে হয়।
সেগুলো হচ্ছে কিডনী, হার্ট ও হার্ট ভালভ, প্যাঙক্রিয়াস,অস্থিমজ্জা, রক্ত ও অনান্য।
মরণোত্তর দেহদান করতে হলে একজন ব্যক্তিকে যে কাজগুলো সম্পাদন করতে হবে। তা হল প্রথমে যেকোনো মেডিকেল কলেজ বা হাসপাতালের অধ্যক্ষ বা পরিচালক বরাবর একটি আবেদন করতে হবে। আবেদনের সঙ্গে স্ট্যাম্প কাগজে হলফনামা, দুই কপি সত্যায়িত পাসপোর্ট ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি লাগবে। অঙ্গীকারনামায় দেহদানকারী, গ্রহীতা ও সাক্ষীদের নাম ও ঠিকানা উল্লেখ থাকতে হবে।
আর যত বেশিসংখ্যক মানুষ মরণোত্তর দেহদান করবেন, তত বেশিসংখ্যক রোগীর জীবন রক্ষা পাবে।
8 Comments
GOOD WRITING
ReplyDeleteভালো
ReplyDeleteFINE
ReplyDeleteGOOD
ReplyDeletefine
ReplyDeletegood
ReplyDeleteFine
ReplyDeleteOK
ReplyDelete