Ticker

20/recent/ticker-posts

বুদ্ধিভিত্তিক সম্পদ(Intellectual Property)


Intellectual property এর বাংলা প্রতিশব্দ বুদ্ধিভিত্তিক সম্পদ। এটি বর্তমান বিশ্বে একটি আলোড়ন সৃষ্টিকারী ও যুগান্তকারী ধারণা। পূর্বে বিশ্বের মানুষের কাছে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির ধারণায় ছিল সম্পদের ধারণা। বর্তমানে বুদ্ধিভিত্তিক সম্পদ বলতে  কোন ব্যক্তি তার বুদ্ধি,মনন ও সৃজনশীলতা ব্যবহার করে যা কিছু সৃষ্টি করে তাকে বুদ্ধিভিত্তিক সম্পদ বলে। ইহা এমন এক ধরনের সম্পত্তি যার  উৎপত্তিস্থল হলো মানুষের মন,বুদ্ধিবৃত্তি ও বিচারশক্তি। সুতরাং মানুষের মন ও মেধা দিয়েই সৃষ্টি হয় বুদ্ধি ভিত্তিক সম্পদ।ব্যবসায়,শিল্পে ও বাণিজ্যে উপযোগী আবিষ্কার, শিল্পকর্ম,নকশা,প্রতিক নাম, ইত্যাদি সম্পদের অন্তর্ভুক্ত। এছাড়াও  ব্যবসায়ীক  গোপনীয় বিষয়, বিজ্ঞাপনের অধিকার,নৈতিক অধিকার ইত্যাদিও বুদ্ধি ভিত্তিক সম্পদের আলোচনায় পড়ে। সকল উদ্ভাবন ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মূলে রয়েছে বুদ্ধি ভিত্তিক সম্পদ। এ সম্পদ ব্যবহার করে মানুষ জয় করেছে সৃষ্টির অনেক অজানা রহস্য ও অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছে।যে আইন দ্বারা এই সম্পত্তি সংরক্ষণ করা হয় তাই হচ্ছে মেধাবৃত্তিক সম্পত্তি আইন যেমন- পেটেন্ট, ডিজাইন,ট্রেডমার্ক ও কপিরাইট অন্যতম। মেধাবৃত্তিক আইনের  উদ্দেশ্য হল, নকল পণ্য প্রতিরোধ করা, মেধা ও শ্রমকে আইনগত স্বীকৃতি দেয়া, তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়নে গতিশীলা  আনা, বুদ্ধিভিত্তিক সম্পদকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতায় বুদ্ধিভিত্তিক সম্পদের প্রচার ও সুরক্ষার জন্য ১৯৭০ সালে World Intellectual Property Organisation প্রতিষ্ঠিত হয় যা ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থার অন্তর্ভুক্ত করা হয়।


Post a Comment

2 Comments

Ad Code

Responsive Advertisement