পরচর্চা ও পরনিন্দা পুরোটাই মানসিক ব্যাপার। মানসিক বিশৃঙ্খলা থেকে এর জন্ম হয়। মানুষ বিভিন্ন কারণে পরচর্চা বা নিন্দায় জড়িত হয়।
কোন মানুষ যদি তার আত্মীয়-স্বজন বা প্রতিবেশীর নিকট কোন কারণে ভয়ের মধ্যে থাকে। ও সে ভয়ের কারণটা সরাসরি মোকাবেলা করতে না পারে। তখন সেই ভয়টা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য ও অন্য মানুষের কাছে সহযোগিতা পাওয়ার জন্য ওই ব্যক্তির নামে পরচর্চা বা পরনিন্দায় নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন।
কোথাও গল্প ও আড্ডা দিচ্ছেন বিনা কারণে সে আড্ডাকে জমানোর জন্য অন্য কোন ব্যক্তিদের নিয়ে পরনিন্দা ও পরচর্চা করা।
অনেকের পরচর্চা পরনিন্দা শুনতে ও বলতে আনন্দ পান।
কারো অনেক উন্নতি দেখছেন,নিজেকে তার সমকক্ষ করতে পারছেন না, সেই অক্ষমতা থেকে তার পরচর্চা বা পরনিন্দা করা।
কারো প্রতি প্রচন্ড রেগে আছেন সাহসে অথবা দুর্বলতার কারণে আপনি সামনাসামনি তাকে কিছু বলতে পারছেন না। তখন তার নামে অন্যের কাছে পরচর্চা ও পরনিন্দা করবেন।
অন্যের সাফল্য দেখে নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে তার পরচর্চা পরনিন্দা করে নিজের মনকে সান্তনা দিবেন।
কারো কাছে অতি আপন ও কাছের মানুষ হবার জন্য তার অপ্রিয় মানুষগুলোকে নিয়ে পরনিন্দা ও পরা চর্চা করে তার নিকট আরো আপন হয়ে ওঠা।
নিজের মত, পথ,বিশ্বাসকে আরো সুদৃঢ় করতে পরাচর্চা ও পরনিন্দা কে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা।
বেকার সময় ও অবসাদগ্রস্থ সময়ে পরচর্চা ও পরনিন্দার মাধ্যমে সময় পার করা।
প্রতিদিন মাথার ওপর আকাশটা দেখুন কত বিশালতা, নদী ও সমুদ্রের দিকে তাকান, বিশাল প্রকৃতির মাঝে নিজেকে লুকিয়ে ফেলুন। মনটা আরো বিশাল এবং উদার হয়ে যাবে,প্রশান্তি পাবেন। অন্যকে বিনা কারণে ছোট করা, সমালোচনা করা, নিন্দা করা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়, সেটা একদিন আপনাকেই ছোট করবে, হীনমন্যতায় ভোগাবে। উন্নত জীবন লাভের জন্য নিজেকে বদলানোর চেষ্টা করুন।ঘরোয়া ও বাইরে কোথাও আড্ডা ও আলোচনায় গেলে আগেই বলে রাখুন সমালোচনা ও পরনিন্দা করা যাবে না অথবা পরনিন্দা বা পরচর্চা হলে সেখান থেকে বেরিয়ে আসুন।সমাজকে আরো সুন্দর করার কাজ আমাদের কি করতে হবে। নিজের বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে সহজ,সরল,মানবিক ও সাধারণ জীবন যাপনের মধ্য দিয়ে নিজেকে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে নিতে হবে।
5 Comments
ভাল
ReplyDeleteGOOD
ReplyDeleteFINE
ReplyDeleteFINE
ReplyDeleteBEAUTIFUL
ReplyDelete