আকার ও প্রকৃতি বিচারে জনতা কয়েক রকম হতে পারে যেমন আকস্মিক জনতা, সক্রিয় জনতা, রীতিগত জনতা, অভিব্যক্তিপূর্ণ জনতা।
হুজুগে জনতার আচরণের কিছু বৈশিষ্ট্য ফুটে ওঠে তা নিচে আলোচনা করা হলো
আবেগ প্রবণতা
মানুষের আদিম প্রবৃত্তি ও আবেগ জনতার মাঝে প্রকাশ পায়। এই অতিরিক্ত আবেগের জন্য জনতা সহজেই হিংসাত্মক কাজে লিপ্ত হয়।
বিচার শক্তিহীনতা
হুজুগে জনতা বিচারবুদ্ধি হারিয়ে ফেলে। ভালো মন্দ, ন্যায় অন্যায়,সম্ভব অসম্ভব ইত্যাদি চিন্তাশক্তি লোপ পায়। তখন জনতা যা শুনে তাই বিশ্বাস করে। তখন জনতার যাচাই-বাছাই করার ক্ষমতা থাকেনা এবং ফলাফলের কথা না ভেবে যে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলায় লিপ্ত হয়।
দায়িত্ববোধের অভাব
জনতা এমন আচরণ করে যে তাদের দায়িত্ববোধ আছে বলে মনে হয় না। দায়িত্ববোধের অভাব থাকায় অন্যের সুবিধা অসুবিধা অধিকার অনুভূতি প্রকৃতি কোনো কিছুর তোয়াক্কা করে না। এজন্য জনতা মারপিট,ভাঙচুর,লুট প্রভৃতি অসামাজিক কাজে সহজেই লিপ্ত হয়।
অসীম ক্ষমতাবোধ
হুজুকে জনতা নিজেদেরকে অসীম ক্ষমতার অধিকারী মনে করে। তারা মনে করে তাদের অসাধ্য কিছুই নেই। তাই অনেক সময় দেখা যায় জনতা নিরস্ত্র হয়েও বিভিন্ন বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
অনামিত্তবোধ
জনতার মাঝে প্রতিটি ব্যক্তির ভাবে সে যে আচরণ করছে তার জন্য সে একা দায়ী নয় বরং গোটা জনতাই দায়ী। ব্যক্তি মনে করে সে তো আর একা করছে না। সে বিশ্বাস করে ভীরের মধ্যে তাকে চিনবেই বা কে যেহেতু পরিচয় গোপন রাখার সুযোগ রয়েছে সেখানে উশৃংখল হতে কোন বাধা নেই।
আমরা সবাই মানুষ যে কারো ক্ষেত্রে ক্ষেপে গিয়ে এরকম কাজ করার সম্ভাবনা থাকে। অনেক সময় পরিস্থিতির কারণে আমরা নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না।কিন্তু কেউ যদি এই বিষয় সম্পর্কে আগে থেকে জেনে থাকে অথবা নিজের বিবেক,বুদ্ধি,জ্ঞানকে, কাজে লাগিয়ে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তাহলে হুজুকে জনতা বা উত্তাল জনতাকে অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
4 Comments
GOOD
ReplyDeleteভাল
ReplyDeleteGOOD
ReplyDeletefine
ReplyDelete