জন্ম থেকেই মানুষ কথা বলতে পছন্দ করে। কথার মধ্য দিয়েই মানুষ সব জয় করতে চায়। কিন্তু কখন কি কথা বলতে হবে তা মানুষ অনেক সময় সারা জীবনেও বুঝে ওঠে না। এই কথা বলতে গিয়ে কখনো কখনো তৈরি হয় শত্রুতা, ভুল বোঝাবুঝি, সম্পর্ক নষ্ট ইত্যাদি। তাই কথা বলেই যে সব সময় জয়ী হওয়া যাবে তা সঠিক নয়। কখনো কখনো চুপ থেকে বা নীরবতা পালন করে আপনি জয়ী বা বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে পারবেন।
কোন কোন ক্ষেত্রে আপনি চুপ থেকে বা নীরবতা পালন করে জয়ী হতে পারবেন তা নিচে আলোচনা করা হলো।
# কোন বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকলে, সে বিষয়ে কথা না বলাই ভালো। ভুল বা অসম্পূর্ণ তথ্য দেওয়ার কারণে আপনাকে লজ্জিত বা অপমানিত হতে পারেন,তাই সে সব জায়গায় নীরব থেকেই আপনার বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে পারেন।
# একজন মানুষ সবার কাছে ভালো হতে পারে না। কোন না কোন কারণে তাকে নিয়ে সমালোচনা করবেই। তাই সব সমালোচনাকে গুরুত্ব দিয়ে কথা না বলে বরংচ নীরব থেকে আপনার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যর দিকে এগিয়ে যাওয়া উচিত।
# গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার সময় কম কথা বলাই ভালো। তাতে আপনি কাজে মনোযোগ দিতে পারবেন ও সঠিকভাবে কাজটি সম্পাদন করতে পারবেন।
# কোন আলোচনা বা আড্ডা দেওয়ার মাঝে অনেক আলোচনা আপনার ভালো নাও লাগতে পারে সেখানে বিরূপ কোন প্রতিক্রিয়াতা বা উঠে চলে আসবেন না, তাতে সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে তাই নীরব থাকার চেষ্টা করুন ও পরিস্থিতি অনুযায়ী চলুন।
# প্রচন্ড রাগের সময় নীরবতা পালন করাই সর্বোত্তম পন্থা। এই মুহূর্তে কথা বললে রাগের মাথায় এমন সব কথা চলে আসতে পারে,যাতে একটি জীবনহানি অথবা সম্পূর্ণ সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই রাগের সময় ধৈর্যশীলতার সহিত নীরবতা পালন করুন।
# অতিরিক্ত খুশি বা আনন্দের সময় মানুষ বাচ্চাদের মত আচরণ করে এই সময় আপনি এমন আচরণ বা কথা বলে বসতে পারেন যা কেউ কল্পনাও করে না।তাই নীরবতা থাকাই উত্তম।
# যদি কখনো আপনার প্রশংসা সবার মধ্যে কেউ করে করে তখন তাকে বলতে দিন এবং তার কথা শোনো। আপনি বাড়িয়ে গিয়ে সেখানে নিজের প্রশংসা করতে যাবেন না বরং চুপ থাকুন তাতে আপনার বিচক্ষণতার পরিচয় ফুটে উঠবে।
# যখন আপনি প্রচন্ড ব্যস্ত,ক্লান্ত,অথবা বিভ্রান্ত হিসেবে মনে করবেন তখন কারো সাথে আলাপ করতে যাবেন না নীরবতা পালন করুন। কারণ এ সময় আলাপচারিতা আপনার দুর্বলতার বিষয়গুলো অথবা প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো চলে আসতে পারে যা পরবর্তীতে আপনি সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
# যখন কোন আলোচনায় আপনি বুঝবেন আপনার মতামত নেওয়া হচ্ছে না বা আপনার মতামতের গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না। তখন অযাচিতভাবে কোন আলোচনায় যাবেন না বরং নীরব থেকে পরিস্থিতি অনুযায়ী চলাটাই উত্তম।
#অপ্রিয় সত্যি কথা বলে কাউকে কষ্ট দেয়া বা সম্পর্ক নষ্টের মত ঘটনা ঘটতে পারে তাই সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য বা কাউকে হাসি খুশি করার জন্য নীরব থাকাই ভালো।
তাই সবসময় কথা বলে জয়ী হবার পরিবর্তে নীরবতার ভিতর দিয়েও সবার কাছে প্রিয় এবং এটা সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পারবেন। নীরবতা শরীর এবং মনকে আরো পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর করে তাই নীরব থেকে নিজেকে জানার চেষ্টা করুন পাশাপাশি সুসম্পর্ক বজায় রেখে বিচক্ষণতার সহিত জীবন ধারণ করুন।
4 Comments
good
ReplyDeleteভাল
ReplyDeletegood
ReplyDeleteGOOD
ReplyDelete