Ticker

20/recent/ticker-posts

সব সময় খুশি থাকার উপায়(Ways to be happy all the time)


আমরা সব সময় একটি হাসিখুশি জীবন আশা করি।আমরা সব সময় চাই আমাদের জীবনে যেন কোন দুঃখ বা সমস্যা না আসে এবং হাসি খুশি দিয়ে জীবন যেন ভরে থাকে।খুশি এমন একটা জিনিস যা মানুষ অর্থ সম্পদ দিয়ে কিনতে পারেনা আবার দেখা যায় যার অনেক অর্থ সম্পদ আছে সেও সুখী নয়।আমাদের জীবনে যখন দুঃখ আসে তখন আমরা আমাদের ভাগ্যকে দোষ দিতে শুরু করি কিন্তু এটা ঠিক নয়।খুশি আমাদের মাঝেই আছে শুধু তাকে খুঁজে নেয়া দরকার।

জীবনের খুশি থাকতে হলে জীবনে কিছু কিছু বিষয় বিবেচনাধীন রাখা উচিত যার ভিতর দিয়ে আমরা দুঃখকে জয় করে সব সময় সুখী জীবন ধারণ করতে পারবো।

# অন্যের সাথে নিজেকে তুলনা করা উচিত নয়।অনেক সময় আমরা যার অনেক অর্থ সম্পদ টাকা-পয়সা ধন দৌলত আছে তার সঙ্গে নিজেকে তুলনা করি,তার তুলনায় আমার কিছুই নেই এই বিবেচনা করে আমরা দুঃখ পাই।অথচ আমরা এটা বিবেচনা করি না যে আমার কাছে যেটা আছে, সেটাই অনেকের কাছে নেই। তার তুলনায় তো আমি অনেক সুখে আছি এই বিষয়টা বিবেচনায় নিয়ে আসতে পারলেই সবসময় আমরা সুখী জীবন কাটাতে পারব।

 # দুঃখ বিলাসী মানুষের কাছ থেকে নিজেকে দূরে রাখা।অনেক মানুষ আছে যারা সব সময় নিজেকে দুঃখী ভাবতে পছন্দ করেন,যার ভিতরে সব সময় হতাশা,দুশ্চিন্তা,অনেক নেতিবাচক চিন্তাভাবনার প্রকাশ ঘটে।যারা শুধু দুঃখ নিয়ে চলে তারা তাদের দুখের কথাই বলতে থাকে,তাই তাদের সাথে মিশতে গেলে,নিজেকে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ দুঃখী মানুষ হিসেবে তৈরি করে দিবে সুতরাং তাদের কাছ থেকে দূরে থাকাটাই ভালো।তাদের সাথেই মেশা উচিত যারা দুঃখকে জয় করতে পারে,দুঃখের দিনে সাহস দিতে পারে,উৎসাহ দিয়ে বলতে পারে,সব ঠিক হয়ে যাবে।তাদের সাথেই মেশা উচিত সহজেই দুঃখকে জয় করা সম্ভব হবে।

# আমাদের সুখ আমরা আমাদের পরিবারের কাছ থেকেই পাই।দুঃখের দিনে পরিবারই আমাদের সাহস ও উৎসাহ দেয়,দুঃখ বা সমস্যা কাটানোর জন্য পরিবারের সকলে এসে পাশে দাঁড়ায়।তাই পরিবারের সাথে সময় কাটানো উচিত।একসাথে খেতে বসা, একসাথে ঘুরতে যাওয়া এবং সুখ দুঃখ,আনন্দ বেদনার সকল কিছু সবার সঙ্গে আলোচনা করে এগিয়ে যাওয়া উচিত।

# সব সময় কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকা উচিত।কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকলে দুঃখ আসার সময় পাবে না।পরিশ্রম করে অর্জন করার মধ্যে আনন্দ নিহিত থাকে।তাই কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যবসায়ের  মাধ্যমে সফলতার দিক নিয়ে যাওয়া উচিত।

# নিজের কাজ নিজেই করে নেওয়ার ভিতরে আনন্দ আছে।অন্যের কাছে নির্ভরশীল হওয়া উচিত নয়।অন্যের উপর নির্ভরশীল হলে নিজের আত্মবিশ্বাস হারিয়ে যায়,অন্যের কাছে ছোট এবং হাস্যরসের পাত্র হয়ে উঠতে হয়।যার কারনে মনের ভেতর ভয় এবং দুঃখ আসে।তাই কাজটি যত কঠিনই হোক না কেন অন্যের উপর নির্ভরশীল না হয়ে পরিশ্রম এবং অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে নিজেই কাজটি করা উচিত। এতে নিজের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে এবং মনের ভেতর সুখ অনুভূত হবে।

নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।অনেক সময় রাগের কারণে অনেকের সঙ্গে এমন সব আচরণ বা  ব্যবহার করে ফেলি।যার কারনে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়।অনেক সময় আমরা পরে অনুতপ্ত বোধ করি কিন্তু তখন আর কিছুই করার থাকেনা।সম্পর্ক নষ্ট এবং ভুল বোঝাবুঝির কারণে মনের ভিতর দুঃখ আসে।তাই রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।রাগ নিয়ন্ত্রণ করে চলতে পারলেই সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বিরাজ করবে এবং সুখী হওয়া যাবে।

 # স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল।সুখী হতে গেলে নিজের স্বাস্থ্য সবসময় ভালো রাখতে হবে।স্বাস্থ্য খারাপ থাকলে মন এবং কর্মস্পৃহা দুর্বল হয়ে পড়ে,মনের ভিতর নানা দুশ্চিন্তা চলে আসে,জীবন হয়ে পড়ে দুঃখময়।তাই নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।নিয়মিত ব্যায়াম করা,ধ্যান করা, মেডিটেশন করা উচিত।এগুলোর মধ্যে দিয়ে শরীর ও মন দুই ভালো থাকে।এবং জীবনের সুখী হওয়া যায়।

Post a Comment

2 Comments

Ad Code

Responsive Advertisement