Ticker

20/recent/ticker-posts

স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপদ খাদ্য(Health protection and safe food)



বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য জরুরি হলেও তার চেয়ে বেশি জরুরী নিরাপদ খাদ্য।খাদ্য ও স্বাস্থ্য একটি আরেকটির পরিপূর।সুস্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ পুষ্টিকর খাবারের বিকল্প নেই।

স্বাস্থ্য মানুষের জীবনে অমূল্য সম্প।সাধারণত স্বাস্থ্য বলতে আমরা সুস্থ সবল কর্মঠ দেহবিশিষ্ট  অবস্থা কি বুঝি।রোগমুক্ত রোগ প্রতিরোধ সক্ষমতা পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতা সতেজতা ইত্যাদির সমন্বয় ঘটলে তাকে স্বাস্থ্য বলে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত মানদন্ডগুলি হল......

1.কর্মশক্তি সম্পন্ন স্বাভাবিকভাবে জীবনের বিভিন্ন কাজ মোকাবেলা করতে পারা।

2.আশাবাদী ও সক্রিয় দৃষ্টিভঙ্গিতে কাজ করতে পারা।

3.নিয়মিত বিশ্রাম নেওয়া ও ঘুম ভালো হওয়া।

4.পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়া ও বিভিন্ন অবস্থা মোকাবেলা করতে পারা।

5.সাধারণ সর্দি ও সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ শক্তি থাকা

6.চোখ উজ্জ্বল ও কোন প্রদাহ রোগ না থাকা।

7.উচ্চতা অনুযায়ী সঠিকভাবে ওজন থাকা।

8.চুলে উজ্জ্বলতা ও খুশি না থাকা।

9.হাড় স্বাস্থ্যবান,পেশি ও ত্বক নমনীয়,হাটাহাটি করলে কোন অসুবিধা না হওয়া।

10.দাঁত পরিষ্কার এবং সতেজ ব্যথা নেই দাঁতের মাড়ির রং স্বাভাবিক।

নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য উৎপাদন সরবরাহ ও বিপণন প্রতিটি ক্ষেত্রেই সচেতনতা প্রয়োজন।খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গুলো গ্রহণ করা যেতে পারে।

1.নিরাপত্তা খাদ্য গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।

2.প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে উচ্চপর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কিত সেমিনার ও সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম তৈরি করতে হবে।

3.নিরাপদ খাদ্য শক্তিশালী ও ফলপ্রসূত  করতে হলে নিরাপদ খাদ্য অর্থায়ন বৃদ্ধি করতে হবে।

4.খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্ট তৈরি করতে হবে।

5.নিরাপদ খাদ্যে অর্থায়ন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে।

6.টেলিভিশন,ইন্টারনেট,বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

7.আইনের কঠোর প্রয়োগ নেতৃত্ব করতে হবে এবং আইন প্রয়োগের নামে খাদ্য উৎপাদন বিপণনে নিয়োজিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে হয়রানি হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।

8.নিরাপদ খাদ্য প্রসারে সামাজিক উদ্যোগ সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্ব অবসানের পাশাপাশি সকলের জন্য নিরাপত্তার খাদ্য সহজতার করতে হবে।

9.ভেজাল যুক্ত খাবার যেমন ফরমালিন বিভিন্ন রাসায়নিক জিনিসপত্র খাদ্যে ব্যবহার বন্ধ নিশ্চিত করতে হবে।

10.নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে উৎপাদক বিপণনকারী ভোক্তা সবাইকে সচেতনতা ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।

যেহেতু আমাদের বেঁচে থাকার প্রধান নিয়ামক হচ্ছে খাদ্য তাই সেই খাদ্যকে নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যানুকূল রাখার দায়িত্ব আমাদের সকলের।

Post a Comment

0 Comments

Ad Code

Responsive Advertisement