Ticker

20/recent/ticker-posts

সড়ক দুর্ঘটনার কারণ ও প্রতিকার



জীবন ও জীবিকার তাগিদে মানুষকে প্রতিনিয়ত কর্মব্যস্ত থাকতে হয়।কখনো শহর থেকে গ্রামে,গ্রাম থেকে শহরে আবার কখনো বসবাসরত স্থানের নানা পথ ধরে এদিক-ওদিক মানুষকে ছুটি হয়।কেউ আবার পথ কেই করেছে সঙ্গী।কিন্তু পথ মানুষকে কতটুকু সঙ্গী করতে পেরেছে?প্রতিদিনই সড়ক দুর্ঘটনায় হারিয়ে যাচ্ছে হাজারো মানুষধুলিস্যাৎ হয়ে যাচ্ছে হাজারো স্বপ্ন।যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটেছে ঠিকই কিন্তু কমছে না সড়ক দুর্ঘটনা।সড়ক পথ হয়ে উঠেছে বিপজ্জনক।আজকাল পায়ে হেঁটে রাস্তা পারাপার এবং ফুটপাত দিয়ে হাঁটার সময়ও পথচারী দুর্ঘটনা হতে রক্ষা পায় না।
কি কি কারণে দুর্ঘটনা হচ্ছে তার কিছু কারণ নিচে আলোচনা করা হলো।
1.অতিরিক্ত গতি এবং ওভারটেকিং।
2.অপ্রশস্ত্র পথ ও আঁকাবাঁকা পথ হওয়ার কারণে।
3.প্রযুক্তির অপব্যবহারের ফলে,অনেক চালক মোবাইল ফোনে কথা বলে বা গান শোনে।তাই গাড়ি চালাতে অসতর্কতা হয়ে পড়ে এবং দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
4.অতিরিক্ত ওভারলোডিং এর কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চালকরা প্রায় দুর্ঘটনা ঘটায়।
5.যানবাহনের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনায় পতিত হয়।
6.চালকের অসতর্কতার কারণে ও অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণেও দুর্ঘটনায় পতিত হয়।
7.লাইসেন্স বিহীন কিংবা অনভিজ্ঞ চালক দিয়ে গাড়ি চালানোর ফলে দুর্ঘটনা ঘটে।
8.সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হলো আইন অমান্য করা।অনেকে আইন পালন করেন না বা অনেকে আইন সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটে।
9.কখনো কখনো চালক থাকা অবস্থায় হেল্পার বা কনটেকটার দিয়ে গাড়ি চালানো।
10.দুর্বল আইন থাকা বা আইন প্রয়োগে দুর্বলতা বা দুর্নীতির আশ্রয় এসব কারণেও গাড়ি দুর্ঘটনা বাড়ে।
10.চালকের পর্যাপ্ত বিশ্রাম না নেওয়া এবং অনেক চালকের মাদকাসক্ত হওয়ার ফলে নিজের অজান্তে গাড়ি চালানো অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়ে এবং দুর্ঘটনায় পতিত হয়।
11.পথচারীরা ফুটপাত ধরে না হাঁটার জন্য,ট্রাফিক সিগন্যাল না মানা অথবা না জানার জন্য সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।
12.দুর্ঘটনা সংঘঠনকারী চালকের উপযুক্ত শাস্তি বিধান না হওয়ায়।
13.জনসংখ্যার চাপ ও অপ্রুতুল পরিবহন ব্যবস্থা থাকার কারণে দুর্ঘটনা ঘটে।
14.ট্রাফিক ও ব্যবস্থাপনা সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধেও নিরাপদ যানবাহন চলাচলের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে
1.ট্রাফিক আইন কঠোরভাবে মানা এবং ট্রাফিকদের অসাধুতা কঠিন ভাবে বন্ধ করা।
2.রাস্তায় ত্রুটিযুক্ত যানবাহন চলাচলে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
3.অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বোঝাই এর প্রবণতা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা।
4.ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানে করাকরি আরোপ ও দুর্নীতি রোধ করা।
5.চালকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
6.ট্রাফিক আইন আধুনিকরণ করার সাথে সাথে ব্যাপকভাবে প্রচারের মাধ্যমে জনসাধারণকে জানানোর ব্যবস্থা করা।
7.সড়ক সংস্কার করা এবং আঁকাবাঁকা ও অপ্রশ্বস্ত পথকে প্রশস্ত ও সোজা করে নির্মাণ করে ডিভাইডারের ব্যবস্থা করতে হবে।
8.মুখোমুখি সংঘর্ষ যাতে না হয় সেজন্য ডিভাইডার দিয়ে উভয়মুখী যান চলাচলের ব্যবস্থা করা।
9.কর্তৃপক্ষের সতর্কতা ও কঠোরতা অবলম্বন করতে হবে।
10.আইন মানার ক্ষেত্রে,কোন রাজনৈতিক পরিচয়,কোন প্রভাবশালী ব্যক্তির প্রভাব ইত্যাদি বিষয়গুলোকে গুরুত্ব না দিয়ে সঠিকভাবে আইনের প্রয়োগ করা।

সড়ক দুর্ঘটনার রোধকল্পে সরকারকে কঠোর আইন প্রদান করতে হবে এবং দুর্ঘটনার সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান করতে হবে।এতে কোন রাজনৈতিক দল,সংগঠন কিংবা সমিতির আন্দোলন বা প্রভাবশালী কোন প্রভাবকিংবা কোন প্রকার চাপের কাছে নতি স্বীকার করা যাবে না।এভাবেসড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব।

Post a Comment

2 Comments

  1. অনেক সুন্দর লেখা হয়েছে

    ReplyDelete

Ad Code

Responsive Advertisement