ছোটবেলায় পড়াশোনার সাথে আপোস,খেলতে না পারার আপস,বন্ধুর সঙ্গে না মেশার আপস.আপস কেনার ভেতর দিয়ে শুরু হয় আপোষ চলার জীবন।
ব্যক্তি জীবনে সবকিছু বুঝেও না বুঝে থাকার এক অভিনয়,সত্য বলার সাহস নেই,বেঁচে থাকার জন্য মিথ্যের সঙ্গে আপোষ করে জীবন চলা,যে কথাটা বলা উচিত,যে প্রতিবাদটা করা উচিত,যে নৈতিকতা ধারণ করা উচিত,সবাই এসে তখন বলবে এসবের দরকার নাই,সব মেনে নিয়ে আপোষ করে চলে আসো।এই আপোষ করার শিক্ষা,দীক্ষা প্রতিনিয়ত শেখানো হচ্ছে, বোঝানো হচ্ছে,বলতে বলা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত আমরা পালন করে যাচ্ছি,ভালোবাসা সাথে,সংসার জীবনে,চাকরি জীবন,কর্মজীবনে,আদ্য-অন্ত জীবন সত্যায় আপোসের সস্তা সংস্কৃতি।
প্রতিবাদ করলেই বিপদ,সাহস করে সত্যি কথাটা বললেই ঝামেলা,স্রোতের বিপরীতে চলাটাই যেন অন্যায়,স্রোতের সঙ্গে গা ভাসিয়ে দাও,প্রচলিত নিয়ম-কানুন এর ভিতর থেকে সব জানো,বুঝ,দেখো,কিন্তু কিচ্ছু করার নেই।তুমি জ্ঞানী হও,তুমি পন্ডিত হও,তুমি সব জানো,বুঝ,বড় চাকরি করো,বিজ্ঞানী হও,বড় রাজনীতিবিদ হও,রাষ্ট্র,দেশ,পৃথিবী চালাও তাতে কারো কোন মাথা ব্যাথা নেই,কিন্তু ছাপোসা বিড়ালের মত সবকিছু মেনে নেও,আপস করে এগিয়ে যাও।
এভাবে কি বেঁচে থাকা যায়? সবাই তো তাই করছে,তোমার সমস্যা কি ?দেশ দুনিয়া পৃথিবী যেভাবে ব্যালেন্স করে সবাই চলে যাচ্ছে,তুমিও সেভাবে চলো,কেন তোমাকে হতে হবে বিদ্রোহী,কেন তোমাকে হতে হবে প্রতিবাদী,কেন তোমাকে হতে হবে মতাদর্শের বাইরে,প্রথাবিরোধী।আপস কর মেনে নাও জীবন সুন্দর হবে,সুন্দরভাবে জীবনটা উপভোগ করতে পারবে।
সব মানুষ কি আপোষ করে জীবন চালাতে পেরেছে?কেউ কেউ স্রোতের বিপরীতে এসে দাঁড়িয়েছে।আপস হীনতার অস্ত্র বুকে ধারণ করেছে,জীবনের সুখ সাচ্ছন্দ,বিনোদন,পরিবার সবকিছু ত্যাগ করে বাইরে চলে এসেছে,তাদের সেই ত্যাগ ও মহৎ কর্মের ফলেই হয়তো আজ পৃথিবী আরো সুন্দর আরো বিকশিত হয়েছে,মানুষ পেয়েছে তার অধিকার,ঘুচেছে অন্ধকার,পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে সামনের দিকে।
তাও কেন যেন মনে হয় প্রতিনিয়তই আমরা আপোস করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি,কোথায় যেন বাধা, ভয়,কিছুই যেন হচ্ছে না..........
তাইতো শেষ আপসটা করে যেতে হবে মৃত্যুর সাথে.....
1 Comments
Good
ReplyDelete