বিশ্বাস বলতে আমরা সাধারণত পারিপার্শ্বিক কোনো বিষয় বা বস্তু ও জগত সম্পর্কে কোন সত্তার স্থায়ী বা অস্থায়ী উপলব্ধি বা জ্ঞান এবং তার নিশ্চয়তার উপর আস্থাকে বোঝানো হয় ।
বিশ্বাস হলো কোন কিছুর অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চয়তার অনুভূতি।মনোবিজ্ঞানের ধারণা মতে বিশ্বাসকে সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা যায়।
1.জ্ঞানমূলক:-এই বিশ্বাসের ক্ষেত্রে জ্ঞানের অস্তিত্ব আছে বলে মনে করা হয়।যখন কোন কিছুতে বিশ্বাস করা হয় তখন সে বিষয়ে সম্পর্কে ধারণা থাকে এবং বিষয়বস্তুতে বিশ্বাস করে যে ওই বিষয়বস্তুর মধ্যে জ্ঞানের প্রভাব রয়েছে।
2.অনুভূতিমূলক:-বিশ্বাসের মধ্যে একটি নিশ্চিত হবার বিষয় থাকে।যখন মনের মধ্যে সন্দেহ বা সংশয়ে থাকে তখন মনের মধ্যে অস্বস্তি কাজ করে।যখন নিজ উপলব্ধি বা অনুভূতির মাধ্যমে সেই সংশয় কে দূর করা যায় তখন মনের অস্বস্তি ভাব দূর হয়।এজন্য অনেকে বিশ্বাসকে অনুভূতিমূলক মনে করে থাকে।
3.কর্মমূলক:-কোন কিছুতে যখন বিশ্বাস তৈরি হয় তখন আমরা কাজে প্রবৃত্ত হতে পারি।আমরা কিসে বিশ্বাস করব বা করব না এটা নির্ধারণ করি কর্মের উপর ভিত্তি করে।কর্ম ও বিশ্বাস একটি অপরের উপর নির্ভরশীল।বিশ্বাস যত শক্তিশালী হবে কর্ম তত সুন্দর হবে।
বিশ্বাসের কারণ বা যেসব কারনে বিশ্বাস উৎপন্ন হয় তা নিচে আলোচনা করা হলো।
1.সামাজিক প্রভাবে সমাজের রীতিনীতি,আদর্শ, ভাবধারা,প্রথা প্রভৃতি কারণে বিশ্বাস স্থাপন করা হয়।
2.ছোট বড় সংগঠন,পরিবার,সংঘ ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় সমভাবে বিশ্বাস তৈরিতে সহায়তা করে।
3.মনে ভয় জাগলে বা মানবিক দুর্বলতা তৈরি হলে আজগুবি বা অলৌকিক ঘটনাও বিশ্বাসের কারণ হিসেবে দাঁড়ায়।
4.কোন ব্যক্তির উপর রাগ থাকলে,তার বিষয়ে যে কোন অভিযোগী বিশ্বাস করে।
5.অতিশয় গুণী ব্যক্তি বা বিদ্বান ব্যক্তি,সে যে বক্তব্যই দেক না কেন তার কথাকে আমরা সহজেই বিশ্বাস করি।
6.আশাবাদী ব্যক্তি নিজের ভবিষ্যৎ সাফল্য নিয়ে বিশ্বাস স্থাপন করে।
7.বিপদে পড়ে যখন কেউ হত বুদ্ধি হয়ে পড়ে,সেই বিপদ থেকে উদ্ধার পেতে,যে কোন ব্যক্তির উপদেশ কেই,সেই ব্যক্তি বিশ্বাস করেন।
8.মনের গঠনগত প্রকৃতি অনেক সময় তার মনে বিশ্বাসের উদ্রেক করে ফেলে।
9.অতি অহংকারী মানুষ নিজে নিজে বিশ্বাস করে ফেলে যে সে সবার থেকে বেশি বুদ্ধিমান।
10.নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বক্তব্যকে আমরা সহজেই বিশ্বাস করি।
11.কোন অলীক বা কাল্পনিক কোন ঘটনা বারবার শুনতে শুনতে মনের মধ্যে বিশ্বাসের তৈরি হয়।
12.যদি আগে কোন বিষয়ে প্রত্যক্ষ করেছি বলে মনে বিশ্বাস জাগে,তার উপর ভিত্তি করে অজানা কোন বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করা হয়।
13.পুরনো কোন স্মৃতি আমাদের মনে প্রতিরূপ জাগরিত করে,সেগুলোর মাধ্যমে অতীত ঘটনার বিশ্বাস স্থাপন করে।
14.মনের ভিতর যদি কোন ধরনের সংশয় জাগে,মানসিকভাবে তখন আমাদের অস্থিরতা তৈরি হয়।সেই সংশয় এবং অস্থিরতা দূর করার জন্য মনের ভিতরে নিজ থেকেই বিশ্বাসের স্থাপন করা হয়।
15.বিশ্বাসের উল্লেখযোগ্য এবং সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য কারণ হলো প্রত্যক্ষ করুন।কোন কিছু আমরা সরাসরি প্রত্যক্ষ করলে সহজেই সেই জিনিসের প্রতি আমরা বিশ্বাস স্থাপন করি।
1 Comments
Fine
ReplyDelete