একটি শিশুর সুস্থ মনন,বিজ্ঞানমনস্ক, মানবিক ও যুক্তিবাদী হয়ে বেড়ে ওঠার জন্য,আমাদের অনেক কিছু করণীয় রয়েছে। যা নিচে আলোচনা করা হলো।
# আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় অনেক মানুষই জানে না,যুক্তি কি? তাই শিশুদের ছোটবেলা থেকেই শিখিয়ে দিতে হবে কিভাবে যুক্তি দিয়ে জীবন চালাতে হয়। যুক্তি দর্শন এবং বিজ্ঞান দিয়ে কিভাবে কুযুক্তিকে হারাতে হয়,কুযুক্তি শিশুদের জ্ঞান বিকাশ ও মরণশীলতায় বাঁধার সৃষ্টি করে। এই ছোটবেলাতে কি যুক্তি ও কুযুক্তি সম্পর্কে শিশুদের সম্মুখ ধারণা দিতে হবে। যাতে জীবনের প্রতিটি জায়গায় যুক্তি বিজ্ঞান ও দর্শন ব্যবহার করে সামনে এগিয়ে যেতে পারে।
# অনেক শিশুরাই ছোটবেলায় যৌন নিপীড়নের সম্মুখীন হয়। যার জন্য তাদের সঠিকভাবে বিকাশ সম্ভবপর হয় না ও হীনমন্যতায় ভোগ। তাই ছোটবেলা থেকেই শিশুদের শিখাতে হবে তাদের জন্য কোন স্পর্শ সঠিক বা কোনটি সঠিক নয। এর উপর বিবেচনা করে কার সাথে চলতে হবে বা কার সঙ্গে ত্যাগ করতে হবে।
# আমাদের পরিবার এবং সমাজ থেকে ভিন্ন মতভীতির একটি প্রবণতা শিখিয়ে দেওয়া হয়,যার জন্য একটি শিশু তার নিজস্ব চিন্তাভাবনার বাইরে,অন্য কিছু ভাবতে বা মেনে নিতে ভয় পায়। যার জন্য তার ছোটবেলা থেকেই হিংসা,বিদ্বেষ নিয়ে বেড়ে ওঠে। তাই ছোটবেলা থেকেই তাদের শিখাতে হবে,সে সবার মতই,সমান, একই মর্যাদার ও একই অধিকারের অধিকার।
# শিশুদের মানবিক,নীতি জ্ঞান, মুক্তচিন্তা,পরিবেশ সচেত, দায়িত্ব পরায়ণ ও সৃজনশীল হবার জন্য আরো ছোট ছোট কিছু বিষয়গুলো শিশুদের ছোটবেলা থেকে শিখিয়ে দিতে পারি, যেমন -
১.নিজেদের কিভাবে যত্ন নিতে হয় তা শিখিয়ে দেয়।
২. একতাবদ্ধ হওয়া এবং পরিবারের সাথে সুখী ও সুন্দর থাকা।
৩. অন্যদের প্রতি যত্নশীল হওয়া।
৪.ন্যায়পরায়ন দায়িত্বশীল ও সাহসী করে তৈরি করা।
৫.পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, দেশ এমনকি পৃথিবী নিয়ে ভালো কিছু ভাবা ও কাজ করা।
৬. পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন করা, যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জন না ফেলা এবং নির্দিষ্ট স্থানে মল মূত্র ত্যাগ করা।
৭. পরিবার থেকে শুদ্ধ সংস্কৃতিক চর্চা পালন কর।
৮. পরিশ্রমী ও অধ্যাবসায়ী হিসেবে তৈরি কর।
0 Comments