Ticker

20/recent/ticker-posts

শুদ্ধাচার কৌশল ( Purification strategy)

 


দুর্নীতি প্রতিরোধ করার জন্য নাগরিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা,জবাবদিহি এবং সততা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রণীত একটি সুশাসনের কৌশলকে বুঝায়। 

একটি রাষ্ট্রের অন্যতম লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য হলো আইনের শাসন,মৌলিক মানবাধিকার,সমতা,ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকার নিশ্চিত করা।এটি বাস্তবায়ন করার জন্য অন্যতম একটি কৌশল হচ্ছে শুদ্ধাচার কৌশল। 

দেশে এমন শোষণমুক্ত সমাজের প্রতিষ্ঠা হবে যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন,মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য,স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হবে। এই লক্ষ্য পূরণের জন্য রাষ্ট্রের কর্তব্য সুশাসন,দুর্নীতি দমন,শুদ্ধাচার  প্রতিষ্ঠা ও পরিপালন করা।কেবল আইন প্রয়োগ ও শাস্তির ব্যবস্থার মাধ্যমে দুর্নীতি নির্মূল করা সম্ভব না,তার জন্য প্রয়োজন রাষ্ট্রীয় সামাজিক ক্ষেত্রে একটি আন্দোলন গড়ে তোলা যাতে নাগরিক চরিত্রবান হয় এবং রাষ্ট্র ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শুদ্ধাচার  প্রতিষ্ঠিত ও পরিপাল হয়। 

শুদ্ধাচার কৌশল ব্যবস্থা :-

নৈতিকতা ও সততা তারা প্রভাবিত আচরণগত বৈশিষ্ট্যকে শুদ্ধাচার বলা হয়।ব্যক্তি পর্যায়ের এর অর্থ হলো সততা,কর্তব্য নিষ্ঠা এবং চরিত্রবান ।ব্যক্তির সমষ্টি প্রতিষ্ঠান,তাই প্রতিষ্ঠানের শুদ্ধাচার ব্যক্তির উপরই বেশি নির্ভর করে।তারপরেও রাষ্ট্রীয় আইন কানুন প্রাতিষ্ঠানিক  নিয়ম-নীতি ও দর্শন প্রণয়ন এবং পরি পালনের মধ্য দিয়ে শুদ্ধাচারী জীবন প্রতিষ্ঠা হয়। 

* একজন মানুষের শুদ্ধাচার অনুসরণের ক্ষেত্রে পরিবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারপরে ধাপে  আছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। জীবন ও নীতি-নৈতিকতার ক্ষেত্রে পরিবার ও শিক্ষা  প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান তাদের স্বচ্ছতা দায়বদ্ধতা এবং কর্মকর্তা কর্মচারীদের দুর্নীতি প্রতিরোধ  শুদ্ধাচারকে ত্বরান্বিত করে।রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান যেমন অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে তেমনি রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ,এনজি,বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান,ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান  শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

* সমাজ ও রাষ্ট্রে দুর্নীতি নির্মূল করার জন্য রাষ্ট্রের  আইন কানুন প্রণয়ন ও বাস্তবায় করে শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সমাজের নিয়ম নীতি এবং অনুশাসন রাষ্ট্রে প্রতিফলিত হয়,শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানিক নিয়ম-কানুন, আইন পদ্ধতির পরিবর্তন,নতুন আইন প্রণয়ন ও পদ্ধতি পরিবর্তন,সৃজনশীল ও দক্ষ জনবল নিয়োগ,লোকোবলের দক্ষতার উন্নয়নের মাধ্যমে সমন্বয় সাধন করে শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন করা সম্ভব। 



Post a Comment

0 Comments

Ad Code

Responsive Advertisement